মানুষের সবার চেহারা একে অপরের থেকে ভিন্ন কেন? - আস্ক পড়ুয়া
2 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
516 বার প্রদর্শিত
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (1.1k পয়েন্ট)
বন্ধ করেছেন
বন্ধ

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (404 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

পৃথিবীতে প্রায় ছয়শ কোটি মানুষের বাস। তবে ভেবে দেখার মতো ব্যাপার হলো এদের কারও চেহারাই কারো সাথে মিলে না। আশ্চর্য্য, তাই না? জানেন কি, কেন এমন হয়?


একটা মানুষ দেখতে কেমন হবে, এই সব তথ্য রাখা থাকে তার ডি.এন.এ এর মধ্যে। প্রতিটা মানুষের ডি.এন.এ ২৩ টি টুকরাতে বিভক্ত। এই প্রতিটা টুকরোকে বলা হয় এক একটা “ক্রোমোসম“। প্রতিটা ক্রোমোসম আবার ২ কপি করে থাকে, এক কপি সে পায় তার বাবার কাছ থেকে আর আরেক কপি পায় তার মায়ের কাছ থেকে।

অর্থাৎ, মানুষের শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোসম থাকে, প্রত্যেক জোড়ার ১টা আসে মায়ের কাছ থেকে, আর অন্যটা আসে বাবার কাছ থেকে। বাবার শরীরে ২৩ জোড়ার মধ্যে শুধু ১জোড়া ক্রোমোসম দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে একটি এসেছে দাদার কাছ থেকে, আরেকটি দাদীর কাছ থেকে।

এখন পুরুষের শরীর হতে যখন শুক্রানু (sperm cell) বা নারীর শরীর হতে ডিম্বানু (egg cell) তৈরী হয়, তখন প্রতি জোড়া ক্রোমোসম নিজেদের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে নতুন কম্বিনেশনের এক জোড়া ক্রোমোসম তৈরী করে। এই ঘটনা কেবলা হয় Genetic Crossing Over ।

এখন এই নতুন চেহারার ক্রোমোসোম জোড় থেকে যে কোন একটি শুক্রানু/ডিম্বানু তে যায়। এই ঘটনা কে বলা হয় Independent Assortment . একইভাবে ২৩ জোড়া ক্রোমোসোমেই Genetic Crossing Over এর মাধ্যমে নতুন চেহারার ক্রোমোসোম তৈরী হয়, এবং প্রতি জোড়া থেকে যে কোন একটা শুক্রানু/ডিম্বানু তে যায়।


এর ফলে পুরুষের শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরণের শুক্রানু ও নারীর শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরনের ডিম্বানু তৈরী হতে পারে। যৌন মিলনের ফলে, যে কোন একটি শুক্রানু যে কোন একটি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। ৮ মিলিয়ন ধরণের শুক্রানু আর ৮ মিলিয়ন ধরণের ডিম্বানুর মিলনের ফলে ৬৪ ট্রিলিয়ন ধরনের চেহারার বাচ্চার জন্ম হতে পারে।

অর্থাৎ কারো ৬৪ ট্রিলিয়ন বাচ্চা হলেও কারো চেহারা হুবহু কারো মত হবেনা! জমজ হলে অবশ্য ভিন্ন কথা এবং প্রত্যেকের চেহারাতেই থাকবে তার মা, বাবা, নানা, নানী, দাদা ও দাদীর চেহারার কম- বেশি ছাপ!

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (504 পয়েন্ট)

একেকজন মানুষের চেহারা যে আলাদা হয় – তার পেছনে জিনের কোন উপাদানগুলো কাজ করে তার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এটা কাজে লাগতে পারে মুখমন্ডলের বিকৃতি নিরাময়ের জন্য।

পিতামাতার সাথে সন্তানের চেহারার মিল থাকে, চেহারায় মিল থাকে একই পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও। একই জাতিগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যেও সাদৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু তার পরও আমরা সবাই বুঝি যে যত মিলই থাকুক কোন দুটি মানুষ কখনোই সম্পূর্ণ এক রকম দেখতে হয় না, কিছু না কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকেই ।

কি ভাবে তৈরি হয় এই পার্থক্যগুলো? নতুন এক জেনেটিক গবেষণা থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে ডিএনএ’র মধ্যে এমন হাজার হাজার ক্ষুদ্র অংশ আছে – যা নির্ধারণ করে কিভাবে একটি মানুষের মুখ আরেক মানুষের মুখ থেকে আলাদা দেখতে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
2 টি উত্তর 653 বার প্রদর্শিত
1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 349 বার প্রদর্শিত
20 জুন 2020 "বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ask Porua (512 পয়েন্ট)
1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 253 বার প্রদর্শিত
22 জুলাই 2020 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sharmin Shanu (1.1k পয়েন্ট)
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 173 বার প্রদর্শিত
02 ডিসেম্বর 2020 জিজ্ঞাসা করেছেন Sharmin Shanu (1.1k পয়েন্ট)
2 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 189 বার প্রদর্শিত
18 সেপ্টেম্বর 2020 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sharmin Shanu (1.1k পয়েন্ট)
"আস্ক পড়ুয়ায় স্বাগতম" আস্কপড়ুয়া একটি জ্ঞানমূলক ওয়েবসাইট।এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া।এই কমিউনিটি তে যারা যুক্ত তারা জ্ঞানার্জনে উন্মুখ।যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানে পড়ুয়া বোর্ড সহযোগিতা প্রদানে তৎপর।

1.4k টি প্রশ্ন

1.7k টি উত্তর

1.4k টি মন্তব্য

3.3k জন সদস্য

...